চট্টগ্রাম বন্দরের সেবা কার্যক্রম আরও সহজ এবং উত্তরাঞ্চলে পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে তিনি ইআইবির সহযোগিতাও চান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বৃহত্তম এই বন্দরের উন্নয়নের ফলে পূর্ব ভারত ও মিয়ানমার উপকৃত হবে।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) সাইডলাইনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। তখন তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে অনেক সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার প্রস্তুতিও নিচ্ছে, যাতে ‘স্থানীয় সরকার সত্যিকার অর্থে স্থানীয় ও কার্যকর সরকার হয়।’
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।