পাশাপাশি সেন্ট্রাল গাজা ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পরিবারগুলো এবং দক্ষিণের রাফাহ এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের এলাকায় ফিরে গেছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল।
সে অনুযায়ী, রোববার বেলা ১১টা থেকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে হামাস ইসরাইলের ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দেবে। একইভাবে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি ১,৯৭৭ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরাইলের জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন পায়। এর আগে গত শুক্রবার ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে ঘোষিত কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি বলে ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সংগঠনটি বলেছে, ফিলিস্তিনিরা ১৫ মাস ধরে গাজায় প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলের দর্প চূর্ণ করেছে। পাশাপাশি মাতৃভূমি ফিলিস্তিন পৌঁছে গেছে স্বাধীনতা অর্জনের কাছাকাছি।
শনিবার ইসরাইলের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে তেলআবিবের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করার পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে হামাস।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করে আরও বেশি গণহত্যা চালাতে চেয়েছিল। তবে স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা দখলদার সরকারকে আগ্রাসন বন্ধ করে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে।
‘দখলদার শক্তি গাজায় তার লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে’ উল্লেখ করে হামাস বলেছে, তবে তারা ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ করতে পেরেছে, যা বিশ্ব মানবতাকে লজ্জা দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা এখন দখলদারিত্বের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন ও মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।