কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের ১৪ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় আইসিটি সহ ফৌজদারী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ৩নং দিঘীরপার ইউনিয়নের দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের মঈন উদ্দীনের পুত্র উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামী করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম হারুন, অর্থ সম্পাদক ও লক্ষিপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়র আওয়ামী লীগের সভাপতি পাথর ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দীন, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলমাছ উদ্দীন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জিবান, যুবলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ, আলমঙ্গীর হোসেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মীম সাহেদ সহ ছাত্রলীগের ১৪ জন নেতাকর্মীকে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৪০/৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন মামলার আসামীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীদের মাধ্যমে বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশ বিরোধী ও নাশকতা মূলক কর্মকান্ড সংঘঠিত করার জন্য ফেইসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্ধেশনা সম্বলিত অডিও,ভিডিও স্ট্যাটাস ভাইরাল করা সহ নানা অস্থিশীল পরিবেশ তৈরী করতে ও অর্ন্তঘাতমূলক দেশ বিরোধী কর্মেকান্ডে লিপ্ত রয়েছে।
মামলার অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় আসামীরা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলার মমতাজগঞ্জ বাজারে তাদের দলীয় কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসাবে নাশকতা মূলক অপরাধ সংঘঠিত করতে লিফলেট ভিতরণ করে। পরে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মামলার আসামীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী ফুজায়েল আহমদ রুমান ও সোহেল আহমদকে কয়েকটি লিফলেট সহ গ্রেফতার করে।
থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়্যাল জানিয়েছেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলার ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে মামলার আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে থানা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যে সব অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা একেবারে মিথ্যা ও বিত্তিহীন। আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংঘঠনের নেতা কর্মীদের হয়রানী করতে এ মামলা করা হয়েছে।