এ বিষয়ে এমসি কলেজ শাখার তালামীযে ইসলামের সভাপতি আলবাব হোসেন জানান, এই হামলা শুধু ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে নয়। ছাত্রাবাসে যাতে ভিন্নমতের কেউ থাকতে না পারে সেই চেষ্টা করছে ছাত্রশিবির। এই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।
তবে ছাত্রশিবির কলেজ শাখার সভাপতি ইসমাইল খান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিই ছাত্রশিবিরকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার। এখানে শিবিরের কেউ নির্যাতন চালায়নি। হৃদয় নামের এক জুনিয়রের সঙ্গে রিয়াদের হাতাহাতি হয়। সে ঘটনায় সে আহত হয়। বরং এ ঘটনা জেনে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সেখানে গিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
তিনি আরও বলেন, তালামীযে ইসলাম মূলত ছাত্রলীগের বি টিম। তাদের দলের নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করে সংসদ-সদস্য (এমপি) হয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেন, পুরো ঘটনা হাসপাতালে গিয়ে পালটানো হয়েছে। এ বিষয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (মিডিয়া) বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।