এদিকে আবাসিক এলাকায় ‘পাগলের আশ্রম’ তৈরি করায় স্থানীয়রা অস্বস্তি প্রকাশ করলেও তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, আবাসিক এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় যদি পাগলদের কোনো প্রভাব পড়ে তাহলে যারা বেশি পাগল তাদের অন্য কোনো আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় স্থানান্তর করে কম পাগলদের এখানে রাখা হবে।
জোয়াহেরুল ইসলামের মেয়ে জাকিয়া ইসলাম দাবি করেছেন, তাদের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলের সমন্বয়ক আল আমিন বলেন, মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামের একজন নারী ছাত্র প্রতিনিধি তথা সমন্বয়ক পরিচয়ে জনৈক আ.লীগ নেতার বাসায় পাগলের আশ্রম করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তারা এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। কেউ এরকম কাজ করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বলেন, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি চাঁদা চাইনি। এ বাড়িতে পাগলের আশ্রম বানানো হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। যেহেতু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে ফেলেছেন সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি বা সমন্বয়ক বলতে আর কিছু থাকে বলে তার মনে হয় না।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে জোয়াহেরুল ইসলাম সপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর আগেও মিষ্টির নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাসা ভাঙচুর করা হয়।