হামজাকে বরণ করতে দক্ষিণ সুরমা থেকে এসেছিলেন জুনেদ আহমদ। তিনি বলেন, হামজা ইংলিশ লীগ মাতানো ফুটবলার। তিনি এখন বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তার বাড়ি সিলেটে, এটা আমাদের জন্য গর্বের।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন হামজা। হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেট এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী ও সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃবৃন্দ।
ছিলেন বাফুফের সাখাওয়াত হোসেন ভুইয়া শাহীন, কামরুল ইসলাম হিল্টন, গোলাম গাউস, ইকবাল হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও মন্জুরুল করিম। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর হামজাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন তারা।
হামজা এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে এসেছেন তিনি। সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে চলে যান। সেখানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় যাওয়ার কথা। যোগ দেয়ার কথা জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের।
হামজা চৌধুরী একাধারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, বাংলাদেশেরও নাগরিক।
হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী জানান, মাতৃভূমির প্রতি অসামান্য টানের কারণে সে আসছে। শেকড় যাতে ভুলে না যায় সে কারণেই তাকে আমি এখানে নিয়ে এসেছি। জোর করিনি, সে নিজের ইচ্ছাতে এসেছে।
হামজার বাবা জানান, সিলেট হয়ে হামজা হবিগঞ্জের গ্রামের বাড়ি বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট যাবে। পরদিন ঢাকায় যাবে।
হামজার চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ বলেন, দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলতে আসছে হামজা চৌধুরী। ভাতিজা হামজাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে গ্রামে।