প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ২:০২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১১, ২০২৫, ৬:০৩ এ.এম
বিএনপি নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করলেন শ্রমিকদল নেতা
পটুয়াখালীর বাউফলে এক বিএনপি নেতা ও তার ভগ্নিপতিকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের মহিষাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওমালার শ্রমিকদল নেতা হান্নান হাওলাদারের সঙ্গে মফিজ হাওলাদারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলছ। তবে বুধবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মফিজ হাওলাদারকে মারধর করে হান্নান হাওলাদারের লোকজন। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মফিজ হাওলাদারের স্ত্রীর বড় ভাই কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন মুন্সি দলবল নিয়ে হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে যান। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে পড়েন বিএনপি নেতা জহির মুন্সি। তারা জহির মুন্সি ও তার ভগ্নিপতি মফিজ হাওলাদারকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষ হলে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জহির মুন্সি ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জহির মুন্সি (৬০), তার ছেলে মো. তানভীর (২৯) এবং কর্পূরকাঠী গ্রামের মো. ফকরুল ইসলামকে (৪৫) প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কবির হোসেন কিবরিয়াকে (৪৫) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মফিজ হাওলাদার জানান, তাকে কেন মারধর করেছে সেই বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে তার স্বজনেরা হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে যায়। এসময় হান্নানের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায় তাদের ওপর।
আহত কবির হোসেন ও তার চাচাতো ভাই হান্নান বলেন, মফিজুর অন্য এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করেছে। এসময় এলাকাবাসী তাদের পিটুনি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত