জাকির হোসেন, বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি:-
ইসলামি চক্ষু হাসপাতালের ফরিদপুর শাখার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ইফতার ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুরে পুরান বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ভবনে বৃহৎ পরিসরে সর্বস্তরের চক্ষু সমস্যা জনিত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য এই চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়।
২০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় ইসলামি চক্ষু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ছরোয়ার হোসেন এই শাখাটির শুভ উদ্বোধন করেন। দিনভর রোগীদের বিনামূল্যে সু চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান থাকে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার সোহেল মাহমুদ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ফেকো সার্জন, রেটিনা বিশেষজ্ঞ ও ইসলামি চক্ষু হাসপাতাল, বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ইস্পাহানী ইসলামিয়া এর চীপ কনসার্টেন্ট, ডাক্তার মোঃ সাব্বির আহমেদ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ফেকো সার্জেন্ট, লুৎফর কবির রিপন পরিচালক প্রশাসন, ফরিদপুর শাখার পরিচালক ডাক্তার আরাফাত হোসেন, ম্যানেজমেন্ট কনসার্টেড সাইফুল ইসলাম, অডিট অফিসার রেজাউল করিম, সাবেক কাউন্সিলর এসএম আকবর সরদার সহ বিভিন্ন শাখার পরিচালক বৃন্দ।
সকালে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য থেকে এ মহৎ কাজের শুভ সূচনা করা হয়। ইসলামী চক্ষু হাসপাতাল ফরিদপুর শাখাসহ বিভিন্ন শাখা থেকে আগত চক্ষু বিশেষজ্ঞ টিম সকাল ১০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সকল বয়সী চক্ষু, মাথা ব্যথার রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ , চোখের চুলকানি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ বাবরি পরা, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, চোখে খচখচ করার চিকিৎসার পাশাপাশি চোখে ছানি পড়া, পানি পরা, চোখের মাংস বৃদ্ধি পাওয়া ও চোখের টিউমার সহ সকল রোগীদেরকে যাচাই করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। দূর দুরান্ত থেকে চোখের সমস্যা সংক্রান্ত অনেক রোগীরা ফরিদপুর ইসলাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে।
এ বিষয়ে উপস্থিত থাকা বেশ কয়েকজন রোগীরা বলেন আমাদের এখানে এ ধরনের চিকিৎসা পেয়ে আমরা অনেক গর্বিত। আমরা স্বল্প খরচে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছি। এখানে ডাক্তারসহ স্টফরা সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন।
হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার ও স্টাফরা বলেন, আমরা এখানে সু চিকিৎসা দিচ্ছি। সুলভ মূল্যে ওষুধ ও চশমা দিয়ে থাকি। তারা আরো বলেন মাত্র ৪২০০ টাকায় সানি ও নেত্রনালী এবং আমেরিকান লেন্স দিয়ে ৮২০০ টাকায় অপারেশন করা হয়। ইসলামি চক্ষু হাসপাতালের বিশেষত্ব হল অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে জাপানি কম্পিউটার ও স্লিটল্যাম্পের মাধ্যমে চক্ষু পরীক্ষা করে চোখের যাবতীয় চিকিৎসা ও চশমার পাওয়ার দেয়া হয়